বাইবেল অধ্যয়ন করার সময় খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আছে যার উপর আমাদের মনোযোগ দেওয়া উচিৎ। যখন আমরা শুধু পুরাতন নিয়ম দেখি, সেটা নতুন নিয়মের বিপরীত মনে হয় এবং যখন শুধু নতুন নিয়ম পড়ি তখন তো সেটা পুরাতন নিয়মের বিরোধী হয়ে ওঠে। তাই সর্বপ্রথমে, নতুন নিয়ম ও পুরাতন নিয়মের প্রত্যেকটির উদ্দেশ্য জানা উচিৎ এবং আমাদের এটা মনে রেখে, অধ্যয়ন করা উচিৎ যে, পুরাতন নিয়মের শিক্ষা ও নতুন নিয়মের শিক্ষা প্রত্যেকটি আলাদা।

যেহেতু নিস্তারপর্বের রুটী ও দ্রাক্ষারস যীশুর মাংস ও রক্ত, অর্থাৎ জীবন বৃক্ষকে সম্বোধিত করে, তাই যারা এটা ভোজন ও পান করে, তারা সদসদ্‌ জ্ঞান-দায়ক বৃক্ষ থেকে খাওয়ার পাপ থেকে মুক্ত হয় এবং অনন্ত জীবন লাভ করে। সেইজন্যই ২,০০০ বছর আগে, ঈশ্বরের মণ্ডলীতে নিস্তারপর্ব পালন করা হত যা যীশু স্থাপন করেছিলেন এবং আজ, ঈশ্বরের মণ্ডলীর সদস্যরা, যেখানে খ্রীষ্ট আনসাংহোং এবং মাতা ঈশ্বর বাস করেন, পবিত্রভাবে নতুন নিয়মের নিস্তারপর্ব পালন করে, যা হল জীবন বৃক্ষের আসল।

যীশু বলেছিলেন যে এমন কিছুই নেই যা বিশ্বাসের সাথে করা প্রার্থনার দ্বারা সম্পূর্ণ হবে না। খ্রীষ্ট আনসাংহোং এবং মাতা ঈশ্বরের শিক্ষা, যা হল অভ্যাসগত প্রার্থনার সাথে নয় কিন্তু স্বর্গে পৌঁছানো বিশ্বাসের সাথে প্রার্থনা করা, আমাদের একই জ্ঞান দেয় যেমন যীশু তাঁর শিষ্যদের শিক্ষা দিয়েছিলেন যখন তিনি ভূতগ্রস্থ বালকটিকে সুস্থ করেছিলেন।

ঈশ্বর রাজা শৌলকে প্রতিস্থাপন করার জন্য, যে ঈশ্বরের বাক্যের অবাধ্য হয়েছিল, যিশয়-এর আট পুত্রের মধ্যে কনিষ্ঠ দায়ূদকে তার হৃদয় দেখে মনোনীত করেছিলেন। একইভাবে, আজ, অনেক চার্চের মধ্যে, ঈশ্বর তাদের আশীর্বাদ করেন যারা এলোহীম ঈশ্বর–পিতা আনসাংহোং ও মাতা ঈশ্বরকে বিশ্বাস করে এবং ঈশ্বরের আজ্ঞা পালন করে।

খ্রীষ্ট আনসাংহোং-এর দ্বারা প্রকাশিত সত্যের দ্বারা আত্মিক চোখ ও কান খুলেছে বাইবেলের বিপরীতে কাজ করে এমন চার্চের বিপরীতে, ঈশ্বরের মণ্ডলী শুধুমাত্র বাইবেলে লেখা ঈশ্বরের বাক্য অনুসারে অনুশীলন করে এবং সত্য নিয়ে আসা খ্রীষ্ট আনসাংহোং-কে বিশ্বাস করে। অন্যদের মত যারা মৃত্যুর পরের অজানা ভবিষ্যতের ভয়ে জীবন কাটায়, যারা পিতা ঈশ্বর ও মাতা ঈশ্বরের সাথে দেখা করেছে, তারা এই দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে জীবনযাপন করে যে, তারা সত্যের দ্বারা স্বর্গের পথে চলছে, এবং উত্তেজনা ও আনন্দে ভরে গেছে।

যীশুর বলা শ্যামাঘাসের দৃষ্টান্তের মত, এই জগৎ মানুষের তৈরী আজ্ঞায় ভরা, যা ঈশ্বর বপন করেন নি, কিন্তু খ্রীষ্ট আনসাংহোং এবং মাতা ঈশ্বর সত্য প্রকট করার জন্য এসেছেন। এছাড়াও, নতুন নিয়মের নিস্তারপর্বের দ্বারা, ঈশ্বর তাঁর সন্তানদের সমস্ত পাপ ধুয়ে দিয়েছেন, যারা পাপের বস্ত্র ধারণ করেছে, এবং তাদের সত্য বিশ্বাসের সাথে স্বর্গরাজ্যের দিকে দৌড়ানোর জন্য পরিচালনা করেছেন।

যে কারণে শেষ মহান আত্মিক যুদ্ধে মাতা ঈশ্বরের থাকা আবশ্যক পবিত্র আত্মার যুগে, ঈশ্বর বাইবেলে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যে, স্ত্রী ও তার বংশের অবশিষ্ট সন্তানদের এবং শয়তান ও তার অনুগামীদের মধ্যে একটা বড় আত্মিক যুদ্ধ হবে। যখন ঈশ্বর তাদের আলাদা করেন যারা উদ্ধার পাবে এবং যারা উদ্ধার পাবে না, তখন শুধুমাত্র স্ত্রীর পক্ষে, অর্থাৎ মাতা ঈশ্বরের পক্ষে দাঁড়িয়ে আমরা মহান আত্মিক যুদ্ধে জয়ী হতে এবং উদ্ধারের আশীর্বাদ পেতে পারি। উদ্ধারের কাজ শুধুমাত্র তখনই পূর্ণ হতে পারবে যখন আমরা সারা জগতে যিরূশালেমের মহিমা প্রচার করব ঈশ্বর আনসাংহোং স্পষ্টভাবে পৃথিবীর পরিবার পদ্ধতি এবং হবার সৃষ্টির প্রক্রিয়ার দ্বারা আমাদের জানিয়েছেন যে, মাতা ঈশ্বরের অস্তিত্ব আছে এবং স্ত্রীর বংশের অবশিষ্ট সন্তানদের, ঈশ্বরের মণ্ডলীর সদস্যদের সারা জগতে যিরূশালেম মাতার মহিমা প্রচার করা উচিৎ। আর সেই স্ত্রীলোকটীর প্রতি নাগ ক্রোধান্বিত হইল, আর তাহার বংশের সেই অবশিষ্ট লোকদের সহিত, যাহারা ঈশ্বরের আজ্ঞা পালন ও যীশুর সাক্ষ্য ধারণ করে, তাহাদের সহিত যুদ্ধ করিতে গেল। আর সে সমুদ্রের বালুকার উপরে দাঁড়াইল। ... প্রকাশিত বাক্য ১২:১৭-১৩:১ হে যিরূশালেম, আমি তোমার প্রাচীরের উপরে প্রহরিগণকে নিযুক্ত করিয়াছি; তাহারা কি দিন কি রাত্রি কদাচ নীরব থাকিবে না। তোমরা, যাহারা সদাপ্রভুকে স্মরণ করাইয়া থাক, তোমরা ক্ষান্ত থাকিও না, এবং তাঁহাকেও ক্ষান্ত থাকিতে দিও না, যে পর্য্যন্ত তিনি যিরূশালেমকে স্থাপন না করেন, ও পৃথিবীর মধ্যে প্রশংসার পাত্র না করেন। যিশাইয় ৬২:৬-৭

প্রায় ২,০০০ বছর আগে, ঈশ্বর ক্রুশের উপর প্রায়শ্চিত্তের বলিদান হওয়ার জন্য এসেছিলেন এবং ভবিষ্যদ্বাণী ছিল যে উদ্ধার দেওয়ার জন্য তিনি পবিত্র আত্মার যুগে দ্বিতীয়বার আসবেন। ঈশ্বরের মণ্ডলী, যেখানে পিতা ঈশ্বর আনসাংহোং এবং মাতা ঈশ্বর—আত্মা ও কন্যা—বাস করেন, সেটা হল সেই মণ্ডলী যা মানবজাতিকে উদ্ধারের পথে পরিচালিত করে।