স্বর্গের মূল্য এবং জগতের মূল্য

তারা কিভাবে কথা বলে তার দ্বারা আমরা দেখতে পারি যে একজন ব্যক্তি কোন্‌ জিনিসটা মূল্যবান বলে বিবেচনা করে

আমরা যা কথা বলি তার ৯৮% আমাদের মস্তিষ্কে খোদাই হয়ে যায়। যখন আমাদের মস্তিষ্কে একটা নেতিবাচক মন্তব্য খোদাই হয়ে যায়, তখন সেই একটা নেতিবাচক মন্তব্য দূর করতে আমাদের এক হাজার ইতিবাচক মন্তব্য দরকার। ঈশ্বর আমাদের বলেছেন সবসময় ধন্যবাদ দিয়ে ও আনন্দিত থেকে ইতিবাচক কথা বলতে, যাতে আমরা স্বর্গের মূল্য অনুভব করতে পারি এবং স্বর্গে আশীর্বাদ সঞ্চয় করতে পারি।

আপনি কোনটা বেছে নিতে চান, সেই জিনিস যেটা ক্ষণিকের জন্য থাকবে তারপর অদৃশ্য হয়ে যাবে, না কি অনন্তকালীন মহিমা?

ঈশ্বরের মণ্ডলীর সদস্যরা হল তারা যারা স্বর্গের মূল্য ও আশীর্বাদকে অনুভব করেছে।
তারা সেই লোক যারা প্রচার করে: “আসুন বিশ্রামদিন পালন করে অনন্ত বিশ্রাম পাই এবং নিস্তারপর্ব পালন করে অনন্ত জীবন পাই। আরও আসুন পিতা আন্‌সাংহোং এবং মাতা ঈশ্বরকে গ্রহণ করে ঈশ্বরের সন্তান হই।” তারা সবসময় অনন্ত স্বর্গরাজ্যের মহিমার দিকে মনোযোগ দেয়, এই পৃথিবীর মহিমার প্রতি নয়, যা চোখের পলকে অদৃশ্য হয়ে যাবে।

এই জন্য আমরা নিরুৎসাহ হই না, ... বস্তুতঃ আপাততঃ আমাদের যে লঘুতর ক্লেশ হইয়া থাকে, তাহা উত্তর উত্তর অনুপমরূপে আমাদের জন্য অনন্তকালস্থায়ী গুরুতর প্রতাপ সাধন করিতেছে; আমরা ত দৃশ্য বস্তু লক্ষ্য না করিয়া অদৃশ্য বস্তু লক্ষ্য করিতেছি; কারণ যাহা যাহা দৃশ্য, তাহা ক্ষণকালস্থায়ী, কিন্তু যাহা যাহা অদৃশ্য, তাহা অনন্তকালস্থায়ী।
২ করিন্থীয় ৪:১৬-১৮